দীর্ঘ কবিতা
হয়তো তোমায় বুঝিই নি তো আগে?
নাহয় আমি বড্ড অগোছালো!
চেয়েছিলে ধরতে আমার হাত
বোঝার আগেই হলাম এলোমেলো।
চোখের পাতায় মুড়ে আমায় কেমন
ভালোবাসা বাসতে যখন শেখো,
হন্যে
তুমি আমার চোখে শুধু
ভালোবাসার প্রদীপ টুকুই দেখো।
হয়তো
তখন তোমার জীবন জুড়ে
একটা আকাশ কথার শব্দ সাঁকো
তোমায় ছুঁতে পারার জন্য কোনো
ভাবনা আমার সেদিন ছিলো নাকো।
তোমার তবু অধরা
সেই দিনে
কান্না আমার মোছাও নি তো এসে,
সুখ কেনো নি, দখলদারির সাথে,
বোঝাও নি তো একলা পাশে বসে!
মৌনমুখী চাঁদের পাহাড় ঘিরে
জল ছলছল ছেঁড়া কলির সুর
যেমন করে বৃষ্টিভেজা রাতে,
মন চলে যায় খেয়ালী কোন দূর।
মিষ্টি রোদে ব্রিজের রেলিং গুলো
মিলিয়ে দিতো জাদু অভিকর্ষ।
হয়তো সেদিন তোমার হাতটা ধরেই,
পেরিয়ে যেতাম একটা আলোকবর্ষ।
হয়তো
আমার রৌদ্রপিছল মনে
খোঁজ পাই নি তোমার ভালোবাসার
তুমিও
কেন রিক্ত মরুর বুকে,
রচো নি আর গল্প রূপকথার!
তোমার আমার স্বল্প আলাপ জুড়ে
হলেও হতো অন্য উপকথা,
মেঘলা মনের শিথিল কল্পলোকে
জমিয়ে রাখি পুরোনো সেই ব্যাথা।
হয়তো সেদিন তোমার ভালোবাসায়
খুঁজে পেতাম নতুন বাঁচার শ্বাস,
হয়তো এখন বুভুক্ষুতার মাঝেও
কাটিয়ে নিতাম জীর্ণ পরবাস ॥
অনেক অনেক দুঃখ পুষি আজও
তোমার কথা কেউ বলে নি কেনো?
হয়তো আমি পাল্টে যেতাম রোজ,
হয়তো আমি শুধ্তাম সে ঋণও!
মনে যখন হাতড়ে ফিরি খুশি!
কি জানি কোন বিষন্ন এক সুখ
কে,
যেন
সে আবছা হয়েই থাকে,
হয়তো হবে, তোমারই
সে মুখ?
বুঝিই নি তো ছিলে এতোই কাছে,
হয়তো ছিলেম এমন বেখেয়ালী,
তোমার জন্য একটা বিকেল আজও
মনেপ্রাণে সাজাই
গৃহস্থালী ॥
শাশ্বতী গোস্বামী: কপিরাইট লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন