বিগ বসের ব্যাং



বিবিধ

বিগ বস ইজ ওয়াচিং। আপনি সোশাল মিডিয়ায় ঢেলে দিচ্ছেন ব্যক্তিগত। আপনার রুচি চাহিদা অর্জন বর্জন আপনার স্বপ্ন যন্ত্রণা কাম ক্রোধ লোভ মোহ রিপু বন্ধু শত্রু সাংসারিক খুঁটিনাটি। সব ছাকনিতে ছেঁকে নিচ্ছে বিগ বসের এজেন্টরা। নজর রাখছে। আপনি দেখানোর আনন্দে মেতে আছেন। আপনি জানাতে চান সবাইকে আপনার কি আছে না আছে। গোটা দুনিয়া যেন আপনার বন্ধু। আপনার শুভানুধ্যায়ী। যেন সকলেরই কিছু যায় আসে আপনার ভালোতে মন্দতে। হাটের মাঝে তুলে দিচ্ছেন ইমোশন। সন্তানের সাফল্য ও ব্যর্থতার খতিয়ান। আপনার স্ত্রী পরিবার নিদ্রা জাগরণ সঙ্গম আপনার আহার বিহার যাপন শোক বিপর্যয় যানবাহন শাড়ি গয়না স্থাবর অস্হাবর ইত্যাদি। খুল্লমখুল্লা আলোচনা করছেন রাজনীতি সমাজনীতি অর্থনীতি। যদি আপনি আঁতেল হন জোর গলায় সবাইকে জানিয়ে দিচ্ছেন আপনার মত। মতামত দিচ্ছেন বিশ্বের যাবতীয় ক্রাইসিস এ। রেগে উঠছেন আনন্দে ভাসছেন। আসলে ফেঁসে যাচ্ছেন। আপনার অজান্তে সবটুকু টুকে নিচ্ছে বিগ বস। আপনার প্রোফাইল রেকর্ড হয়ে যাচ্ছে বিগ বসের কম্পিউটার এ। বিগ বস এর এজেন্ট ডাটা এনালাইসিস করছে। তৈরি করছে বিপণন কৌশল। মগজ ধোলাই মেশিন নিজস্ব প্রপাগান্ডার জন্য ইউজ করছে সেই তথ্য। আপনি কি খাবেন কি করবেন কি ভাববেন কোথায় যাবেন কার কাছে কেমন ভাবে খাওয়ালে চোখ কান বন্ধ করে বিশ্বাস করবেন বিনা বাক্যে গিলবেন সব জেনে নিয়ে তৈরি হচ্ছে ওষুধ। ইচ্ছেমতো বাজার। যেখানে আপনি স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় ক্রেতা, আপনাকে বিশ্বাস করানো হবে ঠিক সেই তথ্য সকল যাতে বিগ বস তার নিজের প্রপাগান্ডা করতে পারে। আপনি জেনে বা না জেনে নেচে যাবেন তার টিউনে যেন পাপেট মাত্র। রাষ্ট্রের স্বাধীন মতবাদ পুষ্ট নাগরিক হবার বদলে মগজ ধোলাই হওয়া একটি হ্যাঁ হ্যাঁ বলা সং। আপনি তার শেখান বুলি বলবেন। তার কথার ধরতাই দেবেন। তার মত গ্রহণ করবেন চোখ কান বন্ধ করে। তার দেখান পথে হাঁটবেন তার নির্দেশ এ। বন্ধু বা শত্রু বাছবেন। আকর্ষনীয় যা কিছু আমাদের শো অফ করার নেশাই কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে , বোড়ের চাল হয়ে উঠছে ধান্দাবাজ হাতে। দিনের বেশিরভাগ অবসর সময় নিবেদিত সোশাল মিডিয়ায়। ভুলভাল মানুষের কাছে হাট হয়ে যাচ্ছে গোপন। মানুষ বড় একলা। মানুষ বড় কাঙা| মানুষ বড় অসহায়। নির্মম একাকীত্ব কাটাতে আঙ্গুল  অনবরত স্ক্রল করে চলেছে মনপসন্দ তথ্য সম্ভার। বই পুঁথির জগতের চেয়ে বেশি এবং চটকদার লাইট এন্ড সাউন্ডের দুনিয়া। চটজলদি লাইক কমেন্ট। সরাসরি প্রতিক্রিয়া। লাইভ ইন্টারএকশা। সহজ না এই আকর্ষণ এড়ানো| সেই সুযোগটার জন্য ওত্ পেতে আছে পেইড নিউজ সার্ভিস, রাষ্ট্রের মিডিয়া, আইটি সেল। গোয়েবলসের তত্ত্ব। যা খাওয়াতে চাও তাই খাবে পাবলিক , র‌্যাপারটা দাও চকচকে। বারবার চমকদার প্রচার, জুমলা মানে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি, বেড়ে দাও তার পাতে। নুন ভাতকে বল অমৃত। অর্ধমৃত জীবনকে বল ঝক্কাস। দেখ পিল পিল করে ইঁদুরের পাল যেন ছুটে আসছে হ্যামলিন বাঁশিওয়ালার সুরে। সত্য এখন ফ্যাক্টরি মেড। সত্য ম্যানুফ্যাকচার করা হয়। পাত্তি প্রতিপত্তি এবং প্রভাব তিন "প" মিলে নির্ধারণ করে এর গতিপ্রকৃতি। বিশ্বাস অবিশ্বাসের মাঝখানে বোধ বলে একটা পদার্থ থাকে| এই বোধ পড়াশুনো জ্ঞান বিজ্ঞান ইতিহাস ভূগোল উপলব্ধি উৎসারিত। আমাদের পড়াশুনোর পরিধি সঙ্কুচিত হচ্ছে। আমরা এখন জ্ঞান আহরণ করছি ফেসবুক হোয়াটস অ্যাপের সংগৃহীত নাম দিয়ে ঘুরতে থাকা পোস্ট থেকে। যেটা সুকৌশলে তৈরী হচ্ছে আমাদের পাঠবিমূখতার সুযোগ নিয়ে। অসত্য অর্ধসত্য সব মিলিয়ে আরো করুণ হয়ে উঠছে আমাদের জ্ঞানভান্ডার এবং সেই সুযোগে হিংসা ও বিদ্বেষমূলক পোস্টাত্রান্ত আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করে বসছি স্বজাতী বা প্রতিবেশীর বিরূদ্ধে। হাত রাঙাচ্ছি আত্মঘাতী যুদ্ধে।  কথায় বলে অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী। আমাদের হয়েছে সেই দশা। পয়সা দিয়ে ভুয়ো ডিগ্রী কিনে কিছু লোক টং এর ওপর বসে আছে। তাদের ওপর দেশের দশের ম্যানেজমেন্ট। তো দেশ উল্কা গতিতেই এগোচ্ছে বটে। আমরা হাত তালি দিচ্ছি, পকেটে আইটি সেলের জ্ঞান। অর্থনৈতিক মন্দা, বেকারত্ব, রাষ্ট্রীয় সংস্থার বেসরকারী করন, শ্রমিক ছাঁটাই, কৃষক মৃত্যু, পরিবেশ ধ্বংস, বর্ণবিদ্বেষ, নারী নির্যাতন এসব কোন ব্যাপার নয়, দিনে রাতে ধর্ম জিগির, যুদ্ধ হুমকি আমাদের আড্রিনালিন ক্ষরণ অক্ষুন্ন রাখে, আমরা জোশ থাকার পাঁয়তারা কষি, এদিকে নেপোয় মেরে দেয় দই, দেশের তিয়াত্তর শতাংশ সম্পদ কুক্ষিগত হয় এক শতাংশ মানুষের কাছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক গুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে বিদেশে পালায় কেউ আর সেই দায় বহন করতে নানাবিধ সার্ভিস চার্জ বহন করতে হয় সাধারণ মানুষ কে। এক দেউলিয়া সরকার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে সঞ্চিত সম্পদ তুলে নিয়ে ফাটকা খেলে, বিত্তশালীর আরো চুরির ব্যবস্থা করে, সাধারণ মানুষ কে আচ্ছে দিনের স্বপ্ন দেখিয়ে আরো ভয়ংকর অবস্থার মুখে ঠেলে দেয়।

সত্যের অনেক লেয়ার আছে। আপনার সামনে একরকম পেছনে আরেক। আপনি ভাবছেন এক করছেন আরেক ভান করছেন আরও কয়েক বিঘত দূর। জ্ঞানপাপী চেনে এর আকার প্রকার। সহজে এর নাগাল পায় না সর্বজনে। তবে কি বিশ্বাস করা ছেড়ে দেবেন? অবিশ্বাসীর জ্বালা অনেক। তার কোন ভরকেন্দ্র নেই। সবই  অনন্ত ঘূর্নন। প্রাণের আলাপ তাতে জমে কই? দুদণ্ড শান্তিতে জিরোবার উপায় কই? ফিরে তো যেতেই হয় কোন ঘরে। কোন সমাধি পাশে আনত বসতে হয়। হাত রাখতে হয় হাতে। কাঁধে রাখতে হয় মাথা। অনুচ্চারে বলতে হয় পিঁড়ি দাও গো। জল বাতাসাও যদি জোটে মন্দ হয় না। মানুষ বড় কাঁদছে তুমি মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াও। এতো চিরকালের শিক্ষা। শিক্ষা কে বাহন বানাবার বদলে বহন করে চলাই আমাদের কাল হয়েছে। ডিগ্রিতে ঝুলি ভরেছে। ঘটটি ফাকা ঠনঠন। বাজে বেশি কাজে আসেনা। আমাদের অনন্ত সহ্যশক্তি অপার উদাসীনতা। চূড়ান্ত আত্মসর্বস্বতা আত্মঘাতী বিচ্ছিন্নতা। আপনি কোপনি নিয়ে এক কোটর তাতে অর্থহীন বকম বকম। নেই তাই দেখাই বেশি। ভেতর ফাঁপা দেখানেপনায় একসময় ক্লান্তি আসে। অতঃ কিম্। গ্রাস করে বিষাদ রোগ। খুঁড়ে খুঁড়ে খায়। ব্যক্তিকে ঘিরে গড়ে ওঠে শামুক খোলস। নড়বড়ে অস্তিত্ব। সব পরাজয় ভুলিয়ে দেওয়া ঘুম। কখনো কখনো ড্রাগ। নির্ভরশীল হতে হতে লাগাম ছুটে যায় একসময় হাত থেকে। গলায় এই যে পরম বকলস, আপনি তার প্রেমে পড়ে আছেন। আপনি জাঁক করে আবার দেখাচ্ছেন কি বহুমূল্য উপহার আপনি অযাচিত লাভ করেছেন। নিজের সৌভাগ্যে নিজেই পুলকিত। রাষ্ট্রের কি অপার করুণা বলুন তো আপনাকে নির্বাচিত করেছে। বাওয়াল করে বেড়াচ্ছেন লোকজনের সাথে। গর্বে মাটিতে পা পড়ছে না। আপনি গলা তুলে চেঁচাচ্ছেন রাষ্ট্রের হয়ে। যা হচ্ছে সব ভালোর জন্যই তো, নাকি? প্রশ্ন করা কেন? তুমি বেশি জান? প্রশ্ন হীন আনুগত্য চায় রাষ্ট্র থুরি শাসক। দু দিনের রাজা। মাই বাপ। জামা বদলে বদলে ক্ষমতায় আসে। মাথা মুড়িয়ে তার পদতলে থাকে বিশ্বাসী। আরেকজনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। না পারলে ধমক চমক সুপারি খতম লিস্ট। কত তারা নিভে গেল ছায়াপথে আলো জ্বালিয়ে। আলো তো সহ্য হয় না আমাদের। ও আমার আঁধার ভালো। অন্ধকারে এই বেশ ঢাকা থাকে ফাটাফুটো। মুখের ভয়ংকর ঘৃণা কুঞ্চন। আয়নায় সে মুখ দেখতে ভয় করে। তাই নিরন্তর পাঁক ঘাটা। দুর্গন্ধ অভ্যাস হয়ে গেছে। বিশ্বাস করতে শুরু করেছি এই বেশ ভাল আছি। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু? কতদিন? বিশ্বাসেরও আছে এক্সপায়ারি ডেট। পুরনো বারুদে যতই তুমি পুরকি ভর না কেন রংমশাল জ্বলবে না। নাক কান মুলে ঘরে ফিরতে আর কজন পারে? ইগোহীন হওয়া কি চাট্টিখানি কথা? মহামানুষদেও বলে গ্রাস করে এই রিপু। তাই না এত যুদ্ধ বিগ্রহ পৃথিবীর সব মহাকাব্য জুড়ে। তার রক্তে প্রতিহিংসার জিন। তার শিরায় শিরায় যুদ্ধভেরী বাজে। আদিম প্রবৃত্তি। শিক্ষা রুচি সংস্কৃতি সেসব ঢেকে রাখে। এবার প্রলেপ কিছু কম পড়লেই দাঁত নখ ঠেলে বেরিয়ে আসে। কাঠামো ভেংগে পড়ে ঝুরঝুর করে। এবার দেশের বিশাল সংখ্যক অশিক্ষিত অর্ধ শিক্ষিত এবং তার চেয়েও ভয়াবহ কুশিক্ষা কুসংস্কার কবলিত মানুষ একটা দেশের অগ্রগতির ঢাকায় কিছু বিষ্ঠা লাগিয়ে দিচ্ছে। শিক্ষা পরম্পরা। যে মানুষ নিজের অন্ধকার দূর করতে পারে না সে কি করে আলো জ্বালবে আগামী প্রজন্মের চোখে? বোধ নেই তাই মুক্তি নেই। ভারবাহী বলদ পিঠে বয়ে চলি জ্ঞানের মোট। মাথা বন্ধক দেওয়া তাই ভাবনাও আসে না। কুয়ঁর ভেতর জন্ম মৃত্যু রাজ্যপাট।

কলার তুলে ভাবি মুচড়াই না সহজে। লোকে বলে ওরম মনে হয়। বিশ্বাস করে ফেলব ভাবি। বিশ্বাসীর ঝামেলা কম। প্রশ্ন নেই। যুক্তি নয়। সহজ চুপচাপ। ডান বাম হোদবোধহীন স্রোত যথা। নেহাত গোঁয়ার্তুমিই যা ছাড়ে না। তাই তো জারা হটকে। এমন করে ভাবে সব্বাই। এমন করে ভাবলে ভালো লাগে। কেয়া হনু টাইপ একটা ফিলিং। ফিল গুড। প্রত্যেকটা অবস্হান যথাযথ। অন্তত নিজের কাছে। কপাল ভালোদের দু একটা হ্যাঁ হ্যাঁ ও জুটে যায়। তাহলেই পোয়া বারো। তাহলেই সংঘ। বলীয়ান তিরন্দাজ। ক্রুসেডার। বল হে জয়ধ্বনি বল। সকল জয়ই ইগো উৎসারিত। সকলের সকলের প্রতি একদম ঠিকঠাক কারণের বিদ্বেষ , প্রতিহিংসা। রাম শ্যাম যদু মধু করিম আবদুল টম ডিক হ্যারি নিজ নিজ মত চিৎকার করছে। শোনাতে চাইছে। নিজেরা শুনবে না এটাই পূর্বনির্ধারিত। বুঝতে পারছেনা যে এমনকি নিজের কথাটাও শুনতে পাচ্ছে না ঠিকঠাক। বোধে পৌঁছচ্ছে না প্রাসঙ্গিকতা। ঠিকভুল। অবশ্যম্ভাবী বধিরতা। ডেসিবেল বেড়ে শব্দ দূষণ। সবাই পেয়েছে রাজার পার্ট। জনগণতন্ত্র। ওরম মনে হয়। আদতে ভিখিরি কেউ কেউ। প্রজন্মের পর প্রজন্ম বোবা কালা।  অবতার সৃষ্ট বাণীর বিচার করে কে। গণ হিস্টিরিয়ার অনেক জোশ। তরঙ্গে তরঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে ম্যানমেড ট্রুথ। মিথ্যেকে সত্য বানানোর মেশিন। কল্পনা নির্মাণ। ভুয়ো জেনেও স্বপ্ন নির্মাণ। টার্গেট গ্রুপ টিনএজার। বয়ঃসন্ধির বিদ্রোহী। সব নিজের মত করে ভাবতে চাওয়া কাঁচা মাটির পুতুল। শিব না বাঁদর ঠিক করে দেবে ভুয়োদর্শন। যেমন চায় ভাবাতে। পাপেটের চলনদার। যারা বানায় তারাও মিথ্যেটাকেই সত্য করে ভাবছে। নেংটি খুলে যাচ্ছে টের পাচ্ছে না। পায়ের তলে মাটি বসে যাচ্ছে। টের পাচ্ছে না। উন্মাদনা আফিম সংঘ বল। একা হয় না। আয়না দেখে না। ভয় লাগে একা। নোকর চাকর মনে হয়। সাধারণ লাগে। মব লিঞ্চিং এ মরে যাওয়া একলা মানুষের মত। তারচেয়ে ভালো নোকিয়ার অ্যাড। কানেকটিং পিপল। ভোডাফোনের পাগ। হ্যয়ারভার য়ু গো নেটওয়ার্ক ফলোজ। নেট দুনিয়ায় ছিপ ফেলে রাতদিন পার। রাজা উজির। সবাই ভোকাল। সবদিক থেকে ধেয়ে আসে চিৎকার। আমি আমি আমি। কে কাকে পাত্তা দিচ্ছে। দিচ্ছে গুরু দিচ্ছে। ম্যানমেড ট্রুথ। প্রকৃতি বিমূখ। বল বল বারবার বল। নিত্য তাকে ছড়িয়ে দাও। মানুষ একসময় বিশ্বাস করে ফেলে। মানুষের ঘরে শৌচাগার নেই, পানীয় জল নেই, পেটে খাদ্য নেই, খোপড়িতে বিদ্যা নেই, কশেরুকায় জোর নেই, তাকে বলা হোল চিলে কান নিল তো সে ছুটল চিলের পেছনে, তাকে বলা হোল জল কাত তো জল কাত। এভাবেই ইতিহাস বদলে যায়। নতুন করে লিখছে গুলতাপ্পি। গুলতাপ্পি বেশি ওজনদার। সত্য ম্যাড়মেড়ে। বিজ্ঞাপনহীন। চটকহীন। পাবলিক খায় না। পাবলিক গল্প খায়। গ্রাঞ্জার চায়। রূপকথা। ঘরে ফুটো চাল ভাবে রাজা বাদশা। দারিদ্র ভ্যালুয়েবল কমোডিটি। তৈরী করে বিজ্ঞাপন। প্যাকেজিং। ফেয়ারি টেলস। যারা খেতে পায় না তারা স্বপ্নে পোলাও রাঁধে। যারা বেশি খায় তারা না খাওয়ার গল্প ফাঁদে। ইমেজ। টেলর মেড। লারজার দ্যান ট্রুথ। কর তোরা সব জয়ধ্বনি কর। প্যাকেজিং। চকচকে। মনোরম। ওটাই সার। অন্তঃসার খোঁজে পাগলে। এবং সংখ্যালঘু।

শর্মিষ্ঠা ঘোষ: কপিরাইট লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন