গুচ্ছ কবিতা
কালের নায়ক
চাপা দিতে গিয়ে, পাথরই
ডুবেছে লজ্জায়;
জল, কাকে না বাঁচিয়ে রাখে?
ইতিহাস খুঁজে নেয় কালের নায়ক।
চাপা দিতে গিয়ে, পাথরই
ডুবেছে লজ্জায়;
জল, কাকে না বাঁচিয়ে রাখে?
ইতিহাস খুঁজে নেয় কালের নায়ক।
সিম্বল
গিরগিটিকে
কতই না হস্তরেখা ভেবেছি! ভেবেছি
চিনে গেছি তার সব ইঙ্গিত, জটিল গুপ্ত রঙ; মনীষার
মেধাবী আছাড় খসিয়ে দিয়েছে নর্তকীর দর্পিত মেকাপ।
অধুনা এতোটাই মেধাবী!
স্তম্ভিত কূপমণ্ডূক প্রবুদ্ধ নন্দন মুখি...
চিনে গেছি তার সব ইঙ্গিত, জটিল গুপ্ত রঙ; মনীষার
মেধাবী আছাড় খসিয়ে দিয়েছে নর্তকীর দর্পিত মেকাপ।
অধুনা এতোটাই মেধাবী!
স্তম্ভিত কূপমণ্ডূক প্রবুদ্ধ নন্দন মুখি...
ভুল কাফেলা
নৈঃশব্দ্য শেষমেশ
চিহ্নিত করে গেছে আমার কুঁড়ে,
অরব উল্লাস স্নায়ুতে স্নায়ুতে, গাড়ছে বসত
ধ্যানের উঠান থেকে
ক্রূর হাসি হেসে মূঢ়তা গুটাচ্ছে তাবু
ইতিহাস খুলে দিচ্ছে
একে একে
রুদ্ধসব জানালা কপাট,
এতো দিনে ফিরলে? সুধাল অন্বেষণ মৃদু হেসে
যেন এক জীবন পর নিজস্ব বাগানে হেঁটে বেড়ানো, এই ফেরা।
ভুল কাফেলা আদতেই হন্তারক!
নৈঃশব্দ্য শেষমেশ
চিহ্নিত করে গেছে আমার কুঁড়ে,
অরব উল্লাস স্নায়ুতে স্নায়ুতে, গাড়ছে বসত
ধ্যানের উঠান থেকে
ক্রূর হাসি হেসে মূঢ়তা গুটাচ্ছে তাবু
ইতিহাস খুলে দিচ্ছে
একে একে
রুদ্ধসব জানালা কপাট,
এতো দিনে ফিরলে? সুধাল অন্বেষণ মৃদু হেসে
যেন এক জীবন পর নিজস্ব বাগানে হেঁটে বেড়ানো, এই ফেরা।
ভুল কাফেলা আদতেই হন্তারক!
দিনলিপি
শিকল বিছানো জল
ঘাঁটি,
প্রত্যহ, প্রত্যুষ হতে;
শূন্য খালুই নিয়ে
গৃহে ফিরি, মধ্যরাতে,
বিকিয়ে আমার
কাল
সাধ
বরাদ্দ মাছ
মহাজনী হাটে...
শিকল বিছানো জল
ঘাঁটি,
প্রত্যহ, প্রত্যুষ হতে;
শূন্য খালুই নিয়ে
গৃহে ফিরি, মধ্যরাতে,
বিকিয়ে আমার
কাল
সাধ
বরাদ্দ মাছ
মহাজনী হাটে...
সহজ
জীবন
যুগলের ভ্রুণে
যুগলের ঘ্রাণে
নাচে যে স্নিগ্ধ প্রমোদ অবিরল,
ক’জীবন পায় তার খোঁজ, ভালবাসে?
ক’জীবন অরবতা, আলস্য সময়ের মাদকতা, নিসর্গের অস্ফুট নিদান ভালবাসে?
অতি কথনের ঘোর ঠুনকোতা
যুগলের ঘ্রাণে
নাচে যে স্নিগ্ধ প্রমোদ অবিরল,
ক’জীবন পায় তার খোঁজ, ভালবাসে?
ক’জীবন অরবতা, আলস্য সময়ের মাদকতা, নিসর্গের অস্ফুট নিদান ভালবাসে?
অতি কথনের ঘোর ঠুনকোতা
নাগরিক নিনাদের কুৎসিত
স্বর কপটতা
অধিক কাঙ্ক্ষিত আজ;
হায়! ক’জীবনই বা সহজ যাপন ভালবাসে!
সৈয়দ ওয়ালী: কপিরাইট লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন