কবিতা
ধারাবিবরণী
মসৃণতা মেঝে বোঝে মাংসের ওপরে
ডিজিটাল সংকেতে
খাজুরাহোর
খাবারে অন্তর্বাস
পাউচ প্যাকে জন্মনিরোধক
জ্বর হওয়া অনুভবের
থার্মোমিটারে সেতারের ঝংকার
তোলে জরায়ু
একটু একটু করে
বৃষ্টি উঁকি মাপে
ইস্তেহারে একই ধারাবিবরণী
তফাৎ
বাক্যবন্ধের কোনো বয়:সীমা নেই
আমি স্যান্ড আর্ট খাই
মুছে যাই আর
ক্লাউনগুলো ভ্রামক হাসি হয়
নমষ্কার ও সাহিত্য রিসোর্টে যায়
চাঁদ সংসার ত্যাগী
শরীর বোনে
শীতে কাজে লাগবে
দাড়ি মসৃণতা খোঁজে
মাছের পেটী হোক কিম্বা ডাইনিং
টেবিলে হতোদ্যম
সাঁতলানো মাংস জ্যোৎস্না
নিয়ে
বেশ আছে
তাপ বিনিময় খেলাতে
ঘাস ফুলে আটকানো সেপ্টিপিনের
ঠোঁটে ঘাস ফড়িং কিছুটা
সুরাহা হয়
বাতাস আর হাওয়ার তফাৎ
বোঝাতে বুলাদি আসে না
সুসংবাদ
কলাগাছের পাতায় বিন্দুবিন্দু
প্রেম
লেগে আছে
আমি কলাপাতা দিয়ে শর্করা কমাই
রান্নার আঁচকে সাক্ষী রেখে
ভেলাতে
ভাসব বলে
চশমা নতুন করে দিন বদলের ডাক
দেয়
আর উল্কি এসে হাত ধরে
টলোমলো একাকীকে ডানা জুড়ে দেই
ধোঁয়াশাগ্রস্থ পলাশ জাত হারিয়ে
বিছানা
হয়ে যায় আর আমি শুধু মাইলের পর
মাইল এঁকে যাই
তুলসীর মালায় ঠোঁট ঘোরাঘুরি
করে
চাপা ধ্বনিতে শিলনোড়া চাপা দিয়ে
যাই
প্রতিদিন দশ ফুট বাই বারো ফুট
ঘরে
খোলা পিঠে তখন সুসংবাদ আর
সাঁড়াশির
পাশে পড়ে থাকে মালা
নতুন মালায় পালকের আকাশ আর
সেপ্টিপিনের ঠোঁটে অন্য ছোঁয়া
পিচবোর্ডের বাড়িতে তখন বাইরে
থেকে
ঠেকনা লাগিয়ে দেয় মিস্ত্রি
পরিক্রমণ
বৃষ্টি শেষের পাতা ঝরা জলে
যে মায়াবী সাক্ষীর শূন্যতার রেশ
এখনো চলছে
সেখানে যাবার টিকিট কাটতেই
কে যেন কোনোমতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
আত্মহারা
এলোমেলো শব্দ মিছিল শিকলে
ঘুরপাক খায় যোনিপথ থেকে
কাশপথ
পুজো দেখার উল্টোপথে আমি
স্বপ্নপথ শেষ করে উজাড় করি
ধুনুচি
ডাকের সাজে কাগজের ফুল
দুর্গা প্রতিমার সমাবেশ
আমি অসুর খাই
গনেশ হাঁটি
এক পা দু পা তিন পা
কাশফুল আঁশ ছাড়ায়
উপাসনা ওড়ে সারারাত
এক ঝাঁক পালানো
সরস্বতী লিখি আকাশে
ময়ূর ইশারা কার্তিকে
শরত ভূগোল ঘোরে
পেঁচা মাখি অঞ্জলিতে
আলপিনে লক্ষ্মী ধোঁয়া
ধুনুচি দেয় সারারাত
নির্মাল্য ঘোষ: কপিরাইট লেখক কর্তৃক
সংরক্ষিত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন