গুচ্ছ
কবিতা
অপেক্ষা
ছায়া কি কখনো নিজের অপেক্ষায়
থাকে?
জানো কি?
উত্তরে আমি বলি থাকে। আমি থাকি আমার
ছায়ার অপেক্ষায়।
এই যে ঘরদোর সব ভেদ করে
এতো আলো সাজিয়ে রেখেছ তুমি,
এর সবকণাই কি সত্যিকারের আলোক
পরিবাহী?
নিজের ভিতরে তাকিয়ে দ্যাখো একবার ,
আতস কাঁচের ভাষা সর্ব সত্য, তাই
বা
ভাবো কেন ?
তোমার ভেতরে আসলে যত সমুদ্র আলোর
স্নান দ্যাখো, তার
অনেকখানিই আঁধার
আমার ছায়া তাই আমার অপেক্ষায় থাকে।
ঠিক যেমন আমিও তাঁর অপেক্ষায় ...
কুয়াশা
উপত্যকা
ক্রমশ গাঢ় হয় মোহ। হাতছানি
দিয়ে টান মারে ক্ষত থেকে ক্ষতময় নিবিড়তায়
এই যে খাদের কিনারে বয়ে যাওয়া রাস্তা,
গাঢ়তর হয়ে নেমে আসা পাহাড়ী অর্কিডের ডাক...
কোথা থেকে নেমে এলো যেন লাল, নীল
টুপির বাহার। আপেল ফুলের রঙে
ভেসে আসা মায়াচোখ !
অবসন্ন হয়ে যাই। ফিরে আসি আবার আমি
আমার খোলা জানালা আর পাহাড় দিনের
সেগুনগন্ধী ঘরের গায়ে।
স্বচ্ছ
চোখে চোখ রেখে কথা বলো তো দেখি !
হারিয়ে কি ফেলেছ তোমার নিজস্ব আয়না ?
হাতে হাত রেখে এসো, এসো
জলের
প্রতিবিম্বের কাছে।
ছায়াতে খুঁজে নাওতো দেখি ছায়ায় লেখা অক্ষর
ভালো কি বেসেছ কখনো সহজ
ভালোবাসার সরলতায় ?
আগুনে পুড়ে যাক্ সত্য, মিথ্যে
হোক
অভিনয়ের পর্দা।
নীপবীথি ভৌমিক: কপিরাইট লেখক কর্তৃক
সংরক্ষিত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন